Wednesday, October 14, 2020

বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায় কি হঠাৎ করেই ধর্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হল, নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ? (MUST READ)

 

বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায় কি হঠাৎ করেই  ধর্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হল, নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ ?

(MUST READ)

                                 - নাজমুল চৌধুরী

র্ষণ এবং ধর্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি মৃত্যুদন্ড কিংবা যাবজ্জ্বীবন কারাদন্ডের মত কঠোর আইন প্রয়োগের কথা সমাজের নারী কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকসহ সকলের দাবীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত আইনী খসড়ায় উপরোক্ত শাস্তিমূলক বিধানসমূহ রেখে সর্বসম্মতিক্রমে আইন পাশ হয়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন হল যুব-সম্প্রদায়ের মধ্যে হঠাৎ করে ধর্ষণের মত ঘৃণ্য প্রবণতা হঠাৎ করে বেড়ে গেল কেন? এ আইন প্রয়োগে ধর্ষণ কি বন্ধ হবে নাকি ধর্ষণের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়বেনা – এ নিয়ে যথেষ্ট ভাববার অবকাশ আছে। 

নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১০ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে টুইটারে লিখেছেনঃ

”বাংলাদেশ সরকার ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছেন। ভাবছেন এটা খুব সহজ সমাধান ! আপনি মানুষকে শিক্ষিত করে তুলেননি এ ব্যাপারে যে, নারীরা ধর্ষণের বস্তু নয় কিংবা তারাও পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট জীব নয় অথবা ক্রীতদাসী নয় এবং পুরুষ তাদের প্রভু নয়। তাই মৃত্যুদন্ড ধর্ষণ বন্ধ করতে পারবেনা।”

ঐদিনই আরেক টুইটে তিনি লিখেন, “ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর প্রকাশের পরে, ধর্ষিতা সমাজে একঘরে হয়ে যাবে। তাছাড়া ধর্ষক একথা জেনেই গেছে যে, ধরা পড়লে তার মৃত্যুদন্ড হবে তখন ধর্ষণ করে ধর্ষিতাকে ধর্ষক জীবিত রাখবেনা।”

ইতিপূর্বে এই লেখিকা তার পুস্তক ‘লজ্ঝ্বা’, “নির্বাচিত কলাম”, “আমার মেয়ে বেলা” বা “ক” নামক বইতে নারী স্বাধীনতার ব্যাপারে অনেক কথাই লিখেছেন। একাধিক স্বামী ও একাধিক পুরুষের সাথে তার নিত্য-নৈমিত্তিক যৌনমিলন কিভাবে উপভোগ করেছেন সে সমস্ত স্মৃতিকথা তিনি কোনরূপ রাখঢাক না রেখে অবলীলায় তার পুস্তকে বর্ণনা করেছেন। তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন,নারী হলেও তিনি পুরুষের সমকক্ষ এবং বিভিন্ন পুরুষের সাথে যৌনউৎসব পালন করার ঘটনা প্রকাশ করা প্রকারান্তরে নারী স্বাধীনতার অংশবিশেষ।

তার ’নির্বাচিত কলাম’ বইয়ের একজায়গায় তিনি লিখেছেন ‘আমার ছোট্ট ভাইটি খেলা শেষে মাঠ হতে ফিরে গরমে গায়ের গেঞ্জিটি খুলে ছুড়ে ফেলে দেয়, আমি কেন তার মত পারবনা?” পুরুষরা যৌনকামনা চরিতার্থ করতে গিয়ে নারীকে ধর্ষণ করে তখন নারী তার কামনা চরিতার্থ করতে পুরুষকে কেন ধর্ষণ করতে পারবেনা?

তিনি হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন স্রষ্টা কেন নারী পুরুষকে ভিন্ন আকৃতিতে গ্ঠন করেছেন, তাহলে কেন নারীকে শুধু সন্তানধারণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, পুরুষ সন্তানধারণ করতে পারবেনা কেন? কেন নারী একসাথে একাধিক স্বামী নিতে পারবেনা এবং এক্ষেত্রে নারী সন্তানসম্ভবা হলে তার পিতৃপরিচয় কি হবে বা তার সমাধান কি – এ সমস্ত নানা বিষয়ের সমাধান কিন্তু তিনি তার লেখায় দিতে পারেননি। 

পবিত্র কু’রআনে নারীকে যে সম্মান দেয়া হয়েছে তার বিন্দুমাত্র তার লেখায় প্রতিফলিত হয়নি। সৃষ্টিগতভাবে নারীরা শারিরীকভাবে দূর্বল এবং এজন্য নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্রও ভিন্ন প্রকৃতির। স্রষ্টা নারীকে পুরুষের অধিক মর্যাদা দিয়েছেন এবং নারীত্বরক্ষায় কি কি পন্থা অবলম্বন করতে হবে তাও বাৎলে দিয়েছেন, বর্তমান প্রজন্মের নারীরা এ সমস্ত ধর্মীয় বিধান কি মেনে চলছেন?           

এখন তসলিমা নাসরিন হতাশ, চোখের নিচে কালি পড়েছে, চামড়ায় বয়সের চাপ, শরীরের মধ্যে নানারকম রোগশোক লেগেই আছে। যৌবনের উদ্দাম দিনগুলোতে পুরুষকে আকর্ষণ করার যে ক্ষমতা ছিল, তাও বিলুপ্ত – পড়ন্ত বয়সে এগুলো তসলিমা নাসরিনের সহজ স্বীকারোক্তি ।

এখন প্রশ্ন হল, ধর্ষণের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য সভ্যতা অনেক কঠিন আইনপ্রয়োগ করেও ধর্ষণ কেন থামাতে পারছেনা। প্রতি মিনিটে আমেরিকায় এবং ইউরোপে একজন নারী ধর্ষিত হচ্ছে। নারী স্বাধীনতা দিয়েও ধর্ষণ হতে পাশ্চাত্য সভ্যতা মুক্তি পাচ্ছেনা কেন? 

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ফ্রান্সে নাট্যকার, সাহিত্যিক, সমাজতত্ত্ববিদগণের মধ্যে আলেকজান্ডার ডোমা, আলফ্রেড নাকেট, পল এডাম, পিরিলাস, পল ব্যুরো, প্রফেসার জুডে তাদের বিভিন্ন গ্রন্থে নারী-পুরুষের যৌনাধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে তাদের লেখনি দিয়ে এক যুগান্তকারী আন্দোলন চালিয়ে যান এবং তাদের সাথে বিভিন্ন পেশাজীবি এ আন্দোলনে যোগ দেন। ফ্রান্সের “ফ্রানটাসিও ও লাভি প্যারিসিয়া” নামক তৎকালীন বহুল প্রচারিত পত্রিকা এবং জার্মান দার্শনিক ডঃ ম্যাগনাস হার্শফিল্ড তখনকার বিশ্বজনীন যৌনসংস্থা আন্দোলনের সভাপতি হিসাবে অবাধ যৌনতাকে সর্বক্ষেত্রে চালুর সুপারিশ করেন। অবাধ যৌনতার পক্ষ নিয়ে যখন পাশ্চাত্য সমাজ সরগরম হয়ে উঠে তখন জার্মান পার্লামেন্টে এ সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।নর-নারীর ব্যাভিচারের কারণে যদি জারজ সন্তান ভূমিষ্ট হয় তাহলে আইনতঃ স্বীকৃতি প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হয়।

১৯৫৬ সালে ব্রিটিশ ডাক্তার ডাঃ চেসার ছয়হাজার রমণীর নিকট হতে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে “সতীত্ব কি অতীতের স্মৃতি” নামক গ্রন্থে লিখেছেন ব্রিটেনে তিনজন নারীর মধ্যে বিয়ের পূর্বেই দু’জন নারী সতীত্ব হারায়।

একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়াসহ অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশে বিয়ের পূর্বে সতীত্ব ও কুমারত্ব হারানোর গড় শতকরা ৯৫-এ পৌঁছেছে। নারীকে পাশ্চাত্যে ভোগের বস্তু হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞাপনে কিংবা বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় আবেদনময়ী নারীকে প্রাধান্য দেয়া হয়। নারী পুরুষের যৌনতাকে ভিন্নভাবে সাজাতে আমেরিকাতে প্রেসিডেন্ট বুশ এবং ক্লিংটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সমকামিতাকে আইনতঃ স্বীকৃতি দেয়া হয়।

১৯৯৫ সালে নিউইয়র্কের ”টাইম ম্যাগাজিনে” প্রকাশিত একটি সংখ্যায় একজন মহিলা ডাক্তার তার রোজনামচায় লিখেছেন – ”হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তার সুডৌল নিতম্ব, উন্নত বক্ষযুগল এবং পরণের স্কার্টের ফাঁকে উন্মোক্ত উরুদ্বয় দেখে উক্ত হাসপাতালের শতকরা ৯৫ জন পুরুষ ডাক্তারের কাছ হতে তিনি যৌনমিলনের প্রস্তাব পেয়েছেন। রোগীদের মধ্য হতেও অসংখ্যবার তার যৌবনের প্রশংসা শুনেছেন যাতে ছিল স্পষ্ট যৌনমিলনের ইঙ্গিত। তিনি আরও লিখেছেন পরিচিত ও অপরিচিত লোকদের কাছ হতে তিনি যত যৌনমিলনের আহ্বান পেয়েছেন তাতে সাড়া দিতে গেলে তাকে কয়েকবার যৌবনাবতী হয়ে এ পৃথিবীতে আসতে হত।

১৯৫০-৮০-র দশকে বাংলাদেশে ধর্ষণ ব্যাপারটি এদেশের জনগণের কাছে অপরিচিত ছিল। এ ব্যাপারে আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলছিঃ 

জিলুয়া নামের এক কিশোরীর কাছে আমার প্রথম চিরকুট প্রদানের কথা। আমি তখন দশম শ্রেণীতে পড়ি, এক অজানা আকর্ষণে চিরকুটখানা জিলুয়ার কাছে পৌঁছে দেয়াটা ছিল আমার কাছে বড়ই আনন্দের আর বীরত্বের। পাশের বাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া পরমা সুন্দরী কিশোরী, গোল্লাছুট খেলার সাথী জিলুয়াকে ছোট্ট একটি চিরকুট লিখে তার বইয়ের ভেতর গোপনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম’তোমার ঐ লাল নাইলনের জামাতে তোমাকে ভারী সুন্দর দেখায়’। চিরকুটটি বইয়ের ভেতর ঢুকিয়ে ঘেমে নেয়ে পালিয়ে এসেছিলাম ওদের বাসা থেকে। কি জানি কি হয়? যদি চিরকুটের কথাটি জিলুয়া প্রকাশ করে দেয় তাহলে কি হতে পারে সে শংকায় একটি বিনিদ্র রাত কাটিয়েছি। এর দু’দিন পর জিলুয়া আমাদের বাসায় আসে, বলে একটি অংক দেখিয়ে দেবে? অংকটি মাথায় ঢুকছেনা। মা বললেন, যা না মেয়েটিকে দেখিয়ে দে। এক ছূঁতোয় জিলুয়া ছোট্ট একটি চিরকুট আমার সার্টের বুক পকেটে আলতোভাবে ঢুকিয়ে দিয়ে লজ্জ্বায় চোখ তুলতে পারছিলনা, অগত্যা পালিয়ে গেল। দুরু দুরু বক্ষে সোজা বাথরুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে সময় নিয়ে পড়লাম ‘তোমাকেও আমার খুব ভাল লাগে, আর ঐ পাতা কালারের সার্ট আর পাজামাতে তোমাকেও কিন্তু দারুণ লাগে’। কতবার পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই, হৃদয়ের সকল তন্ত্রী জুড়ে আনন্দের ফল্গুধারা আর অদ্ভুত এক শিহরণের দোলাচলে সদ্য ফোঁটা প্রেমের নূতন কুঁড়িতে সুগন্ধ ছড়াচ্ছিল অনুক্ষণ, মনে হয়েছিল আমি হিমালয় জয় করে এসেছি, বিশ্বভ্রম্রান্ড জয়ের সে কি পরিতৃপ্তি তা কেবল আমার বর্তমান বয়সের একজনই অনুমান করতে পারবে। সেই জিলুয়া পিতার নূতন কর্মস্থলে একদিন চলে গেল, দুর হতে ওকে দেখেছি, সেদিনের পরে ওর এবং আমার মধ্যে যে দেয়াল সৃষ্টি হয়েছিল তা আমরা কেউই অতিক্রম করতে পারিনি। এখন কোথায় আছে জানিনা, হয়তো সংসারের আবর্তে পাঁক খাচ্ছে কিন্তু সেই স্মৃতিগুলো কত না মধুর, কতনা পবিত্র! বেড়ে ওঠা তরুণ-তরুণীরা তখনকার যুগে ধর্ষণ কথাটির কথা ভাবতেই পারতনা, সমাজ ছিল কত পূত-পবিত্র।  

ব্যক্ত থাকে যে, প্রবাস হতে দেশে ফেরার পর ভার্সিটিতে পড়ুয়া পাড়ার ফুয়াদ আমাকে রাস্তায় দেখে সালাম জানিয়ে বলেছিল, আংকেল দোয়া করবেন, আজ  হতে আমার তৃতীয় সেমিস্টার শুরু, তাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। পাশে পার্ক করা মোটর বাইকে উঠে সাথের মেয়েটিকে বলল, নাসরিন, উঠে পড়, সময় কম, আগেভাগেই পৌঁছতে হবে। জানতে চাইলাম, মেয়েটি কে? বলল, আমার গার্লফ্রেন্ড, সহপাঠি। মেয়েটি আমাকে সালাম দিয়ে ফুয়াদের পিছনে বাইকে উঠে নিরাপত্তার জন্য দু’হাতে ফুয়াদের পেট জড়িয়ে ধরতেই একরাশ কালো ধোঁয়া ঠিক আমার মুখ বরাবর নির্গত করে বাইকটি ছুটে চলল। নাসরিনের উন্নত বক্ষযুগল ফুয়াদের পিঠ জুড়ে লেপটে আছে। এতে ফুয়াদের কিংবা গার্লফ্রেন্ড নাসরিনের অনুভূতি কি ছিল তা না জানতে পারলেও এ বয়সে ওদের নির্লজ্জ্ব সুড়সুড়ি জাগানো ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে রইলাম। আজকাল বাংলাদেশের হাটে, বাজারে সর্বত্রই এ দৃশ্য চোখে পড়লেও সমাজের কাছে ক্রমশঃই তা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে আর এ সমস্ত অবাধ মেলামেশার কারণে প্রগতির এই যুগে দেশে দেশে নারী নির্যাতন. ধর্ষণ একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বেপরোয়া যুবক-যুবতীর সৎ-সতী কথাটির নিশ্চয়তা দেওয়ার মত তেমন লোক আজকাল খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। তাই তসলিমা নাসরিনের অন্যান্য মতামতের ব্যাপারে একমত না হলেও এ ব্যাপারে আমি একমতঃ “ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর প্রকাশের পরে, ধর্ষিতা সমাজে একঘরে হয়ে যাবে। তাছাড়া ধর্ষক একথা জেনেই গেছে যে, ধরা পড়লে তার মৃত্যুদন্ড হবে তখন ধর্ষণ করে ধর্ষিতাকে ধর্ষক জীবিত রাখবেনা।”

আইন করে ধর্ষণ ঠেকানো যাবেনা উপরন্ত যুবক-যুবতীরা জৈবিক ক্ষুধা মেটাতে নূতন নূতন পন্থা অবলম্বন করবে এটা সুনিশ্চিত। তাই পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পশ্চিমা সভ্যতাও আইন করে পারেনি বরং কঠোর আইন তাদেরকে ধর্ষণের পাশাপাশি সমকামিতাও শিখিয়েছে। তাই বয়ষ্ক আইনপ্রণেতা ও সাংসদদেরকে সমাজকে কলুষমুক্ত ও নারী-পুরুষের সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার্থে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।

ক) শুধু পুরুষকে ধর্ষক হিসাবে বিবেচনা করা যাবেনা, নারীরাও ধর্ষকের ভূমিকা নিতে পারে। পুরুষকে যৌনকর্মে নারীরা উদ্ভোদ্ধ করে তার যৌনক্ষধা মেটাতে বাধ্য করবে। আইনের একতরফা বিধিবিধানের কারণে পুরুষরা যদি নারীর আহ্বানে সাড়া না দেয় তাহলে সেই পুরুষের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে নারী প্রতিশোধ নেয়ার ভয় দেখিয়ে পুরুষকে তার যৌনক্ষুধা মেটাতে বাধ্য করার সম্ভাবনা প্রচুর। আর এক্ষেত্রে নারী প্রতিশোধমূলক আইনের আশ্রয় নিলে পুরুষই দোষী বলে বিবেচিত হবে কারণ নারীর অভিযোগ আইনে পক্ষপাতমূলক। কালক্রমে দেখা যাবে, দেশের ভবিষ্যৎ যুব সমাজের অনেক বুদ্ধিদীপ্ত যুবক আইনের মারপ্যাচে প্রাণ হারিয়ে অথবা আমৃত্যু কারাবাসে দন্ডিত হয়ে দেশের এবং দশের জন্য তার লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে গেছে। হয়তো এ যুবক ভবিষ্যতে জাতিকে নের্তৃত্ব দিতে পারত কিন্তু সে ক্ষেত্রবিশেষে বিচার ভারসাম্যহীনতায় অকালে ঝরে গেল ।              

খ) আমাদের দেশের জন্য এবং নারী-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অধিকতর গ্রহণযোগ্য:

১) প্রগতির এই যুগে যুবক-যুবতীদের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা যাবেনা। তাই মোবাইলে পর্ণোগ্রাফীর ’এ্যপস্’ আইনের মাধ্যমে চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে, যে ‘এ্যাপস্ গুলো” তারুণ্যের সর্বনাশ ঘটায় বলে প্রমাণিত।

২) যে সমস্ত দেশী-বিদেশী টিভি চ্যানেল যৌনতাকে উস্‌কে দেয় তা আইন করে চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।

৩) প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা এবং ধর্মীয় শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া যাতে শৈশব হতে শিশুরা অবাধ যৌনতা এবং মেলামেশাকে অপরাধ হিসাবে ভাবতে শিখে।

৩) বাজারে অসংখ্য যৌনসম্পর্কিত বই পাওয়া যায় যেগুলো স্কুল, কলেজ এবং ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কাছে সহজলভ্য। সুড়সুড়ি জাগানো এ সমস্ত অবাঞ্চিত, অনৈতিক বইপুস্তক বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে ছাপাখানা এবং লেখকদেরকে অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

উপরোক্ত ব্যবস্থা নিলে আশা করা যায় ধর্ষণজনিত প্রবণতা রোধে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

================================================ 

 বিঃদ্রঃ পাঠক, এ ব্যাপারে আপনার সুচিন্তিত মতামত অবশ্যই কাম্য।

 


 

No comments:

Post a Comment

What do you think?