দি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার : ইহুদিদের সিক্রেট মিশন
(Must read -The thrilling Historic secret truth)
- নাজমুল চৌধুরী
ভূমিকা :
তালমুদ কিতাবের বর্ণনানুযায়ী ইহুদিদের বিশ্বাস বিশ্বজগতে হযরত আদমের পদার্পণ ঘটেছিল প্রায় ছয়হাজার বছর পূর্বে। সেদিন হতে ইহুদিদের বর্ষপুঞ্জি গণনা করা হয়। বর্ষপুঞ্জির হিসাব মতে ২০২০ সালে পৃথিবীর বুকে মনুষ্যবসতির বয়স হয়েছে ৫৭৮০ বছর। আর মাত্র ২২০ বছর অতিক্রম করার পর পৃথিবীর বয়স হবে ৬০০০ বছর। অবশিষ্ট ২২০ বছরের মধ্যে যেকোন সময় তাদের রক্ষাকর্তা বা মসীহের আগমণ ঘটবে। মুসলিম ধর্মমতে যাকে ’দাজ্জাল’ (ক্ষমতাশালী প্রতারক) বলা হয় ইহুদিরা তাকে তাদের মসীহ ও ইহুদি জাতির ত্রাণকর্তা হিসাবে মনে করে।
জেরুজালেমের মসজিদ আল—আকসা ভেঙ্গে তারা দাজ্জালের জন্য একটি রাজকীয় প্রাসাদ (৩য় টেম্পল) নির্মাণ করে রাজা ডেভিডের (দাউদ নবী) রূপক সিংহাসন প্রস্তুত করবে। রাজা ডেভিডের সিংহাসনে তাদের বিশ্বাস মতে তাদের মসিহ ’দাজ্জাল’ আরোহনের পর দাজ্জালের পৃথিবী জয়ের মাধ্যমে ইহুদিরা সমগ্র পৃথিবীর শাসনভার প্রাপ্ত হবে - এটাই তাদের আকাঙ্খিত ’দি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ পেছনের রহস্য।
’ওল্ড টেষ্টামেন্ট’ অনুযায়ী খিষ্ট্রপূর্ব ১০ম শতাব্দীতে রাজা ডেভিড (দাউদ নবী) জেরুজালেম নগরীকে রাজধানী হিসাবে ব্যবহার শুরু করেন। পরে তার পুত্র পয়গম্বর বাদশাহ সলোমন (সোলাইমান নবী) খ্রিস্টপূর্ব একহাজার বছর আগে সেখানে একটি টেম্পল নির্মাণ করেন, যা ১ম টেম্পল হিসাবে পরিচিত। খিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতাব্দীতে ব্যবিলনের সেনাপতি নেবুচাদ নেজার জেরুজালেম আক্রমণ করে ঐ টেম্পলটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয় এবং স্থানীয় বহু ইহুদিকে ব্যবিলনে ফেরার পথে গোলাম হিসাবে বন্দী করে নিয়ে যায়। বন্দীত্ব হতে মুক্তি পেয়ে কিছুসংখ্যক ইহুদি পুনরায় জেরুজালেমে ফিরে আসে এবং ২য় টেম্পল নির্মান করে।
৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা পুনরায় জেরুজালেম দখল করে ২য় টেম্পল গুড়িয়ে দেয় এবং পরে ১ম ও ২য় টেম্পলের জায়গায় আর কোন টেম্পল নির্মিত হয়নি। ইসলামের ৩য় মসজিদ আল-কুদ্স বা আল-আকসা মসজিদ ইব্রাহীম নবী কর্তৃক নির্মিত হয় যা সুলাইমান (সলোমন) নবী কর্তৃক নির্মিত ১ম টেম্পলের পাশেই অবস্থিত।
ইতিপূর্বে ইব্রাহীম নবী তাঁর পুত্র ইসমাইলকে নিয়ে নূহ নবীর সময়ের মহাপ্লাবনের পর ধ্বংস হয়ে যাওয়া পবিত্র কা’বাঘর যথাস্থানে নির্মাণ করেন। ইহুদিরা কামনা করে মসজিদে আল-আকসা ভেঙ্গে তাদের চলমান ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে এ স্থানেই তাদের মসীহ ’দাজ্জালের”জন্য নুতন করে টেম্পল নির্মাণ করবে অথচ এই মসজিদ আল-আকসায় ইব্রাহীম এবং পরবর্তী যত নবী রাসুল এসেছিলেন তাদের প্রত্যেকেই সালাত (নামাজ) আদায় করেছেন। এমনকি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মদ (সঃ) মেরাজের রাতে আরশে মহল্লায় উর্ধ্বগমণ করার প্রাক্কালে মসজিদে আল-আকসায় সালাত (নামাজ) আদায় করেছিলেন।
জেরুজালেমসহ সম্পূর্ণ প্যালেষ্টাইনের বিভিন্ন অংশ নবী, রাসুল ও তাদের বংশধরদের বিভিন্ন গোত্ররা ভাগাভাগি করে শাসন করে আসছিলেন। ক্ষমতার পালাবদলে পরবর্তী প্রায় ৯০০ বছর ব্যবিলয়ান, রোমান, সেলুজিদ, বাহরি, বুরজি এবং ক্রুসেডার শা সকরা জেরুজালেম শাসন করে।
মুসলিম জাহানের ২য় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে ৬৩৬-৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর-এপ্রিলে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সেনাপতি আবু উবাইদার নেতৃত্বে জেরুজালেম পুনরায় মুসলিম অধিকারে আসে এবং ক্রমেই আব্বাসীয়, উমাইয়াদ, ফাতিমিদ, আইয়ূবিদ এবং অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীনে জেরুজালেমসহ সমগ্র প্যালেস্টাইন প্রায় ২০০০ বছর মুসলিম শাসক কর্তৃক শাসিত হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অবসানের পর ১৯২২ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং প্রায় ২৫ বছর ব্রিটিশরা শাসন করার পর ১৯৪৭ সালে সমগ্র প্যালেষ্টাইনের ২৫% অংশ নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এবং বাদবাকী ৭৫% জায়গা নিয়ে মুসলিম ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ইসরাইল রাষ্ট্র স্বীকৃতির পর হতে ইসরাইলী শাসকরা মুসলিম অধ্যুষিত প্যালেষ্টাইনের ৭৫% ভূমি একে একে জবরদখল করতে শুরু করে এবং অদ্যাবধি এ ধারা অব্যাহত রাখে।
ইহুদিদের সিক্রেট মিশনের নেপথ্যের ইতিহাস :
১৯২০ সালের ২৫ শে জুন আমেরিকান হিব্রু ম্যাগাজিনের মুখপাত্র হারমেন বার্নষ্টাইন (Hermen Bernstein) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যা নিম্নরূপ:
”কিছুদিন আগে আমেরিকান বিচার বিভাগের একজন উর্ধ্বতম কর্মকর্তা ” দি জিউস পেরিল” (The Jewish peril) শিরোনামে একটি পান্ডুলিপি আমার কাছে নিয়ে আসেন। পান্ডুলিপিটি ১৯০৫ সালে রাশিয়ায় প্রকাশিত একটি বইয়ের অংশবিশেষ যা বলশেভিক আন্দোলনের পরপরই বাজার থেকে গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়। ইহুদি ব্যতিরেকে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর কীভাবে ইহুদিরা নিজেদের কর্তৃত্ব ফলাবে তারই দিকনির্দেশনা এ বইয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। (ব্যক্ত থাকে যে, ইহুদি ধর্মাবলম্বী ব্যতীত সকল ধর্মের অনুসারীদেরকে ইহুদীরা ”জ্যান্টাইল” এবং নাস্তিকদেরকে ’পাগান” বলে সম্মোধন করে)
ঊনবিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রভাবশালী ইহুদি নেতা ডঃ থিওডর হার্জেল (Dr. Theodor Herzl) তার এক ভাষণে বলেন - ”We are a people-one people” অর্থাৎ সকল ইহুদি মিলে আমরা একজন। নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষার্থে জাতীয়তাবাদের কোন বিকল্প নেই।
১৮৫৭ সালের ১ম জায়োনিস্ট সম্মেলনে তিনি বলেন আমরা যখন কোন বিপদে পড়ি তখন অদম্য এক বিপ্লবী শক্তি একত্রিত করে আমরা জেগে উঠি, তখন কেউ চাইলেও আমাদেরকে পরাভূত করতে পারেনা। তার লিখিত ”দি জিউস স্টেট” গ্রন্থে উল্লেখ করেন, আমি বিশ্বাস করি জ্যান্টাইলদের ইহুদি বিদ্বেষ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহিংসা এবং ধর্মীয় অনুশাসনকে উসকে দেয়া হচ্ছে যার সমাধানকল্পে জ্যান্টাইল রাজনৈতিক নেতাদেরকে একত্রিত করে আমাদের সমস্যাকে তুলে ধরতে হবে।
১৮৯৬ সালে ডঃ হার্জেল ইহুদি জ্ঞানী রাবাইদের (ধর্মীয় গুরু) তৈরী দিকনির্দেশনামূলক প্রটোকলসমূহের একটি খসড়া তৈরী করেন এবং ১৮৯৭ সালে সুইটজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত জায়োনিস্ট সম্মেলনে প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে উপস্থাপন করেন। পরে ১৯০৩-১৯০৫ সাল পর্যন্ত খন্ডিত আকারে সম্পূর্ণ খসড়াটি বাজারে আসতে থাকে। লন্ডন টাইমস-এ খন্ডিত আকারে প্রকাশিত হতে থাকলে এ ব্যাপারে ব্রিটিশদের মনোভাব ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ইহুদিরা একে কিছু চক্রান্তকারী গোষ্ঠির পাগলামি বলে আখ্যায়িত করে। খসড়াটির একটি কপি এখনও ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। আসলে এটাই ছিল ”প্রটোকলস্ অব দি লার্নেড এলডারস্ অব জায়ন” (Protocols of the learned elders of Zion).
১৯০২ সালে ব্রিটিশ রয়েল কমিশনের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভায় ডঃ হার্জেল বলেন - আমি আপনাদেরকে এমন একটি রাষ্ট্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই যার বর্তমানে কোন অস্থিত্ব নেই তবে একসময় পৃথিবীর মানচিত্রে এ রাষ্ট্রের পরিচিতি ঘটবে। বিভিন্ন কারণে এ রাষ্ট্রের বংশধরদের অসংখ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আপনারা ইচ্ছা করলে এ কাল্পনিক রাষ্ট্রের বিপরীতে ইহুদি কথাটি যুক্ত করতে পারেন, তাহলে বুঝতেই পারছেন এ রাষ্ট্রের রূপ কি হতে পারে ?
এ নীল-নকশার সূত্র ধরে ইহুদিরা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ভেদাভেদের জন্ম দিয়েছে। পৃথিবী জুড়ে জ্যান্টাইল দেশগুলোতে অপসংস্কৃতি ও নাস্তিকতার প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থব্যবস্থাকে কুক্ষিগত এবং যুদ্ধপরবর্তী শান্তি আলোচনায় নিজেদের অবস্থান শক্ত রজ্জুতে বাঁধিয়ে নিয়েছে।
ইহুদি রাব্বী সম্প্রদায় কর্তৃক গোপনে প্রস্ততকৃত ইহুদি জাতির প্রতি গোপন নির্দেশিকাসমূহ ঃ
১) সততা ও সরলতা মানব চরিত্রের একটি মহৎ গুণ কিন্তু রাজনীতিতে এ গুণগুলো ব্যবহারের কোন অর্থ নেই। ইহুদি জাতির চরম শত্রুকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এ দু’টো মানবীয় গুণ রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমাদের শাসনব্যবস্থায় এ গুণাবলীকে পাশ কাটিয়ে যেতে হবে। এগুলো শুধু জ্যান্টাইলদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আমাদের ক্ষেত্রে তারা শুধু এ গুণগুলো প্রয়োগ করবে।
২) জ্যান্টাইলদের মধ্যে অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। পরিচয় গোপন করে আমরা তাদের প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ করে ক্রমেই আরও অস্থিতিশীলতার ইন্ধন যোগাবো ফলে জ্যান্টাইলরা কখনও আমাদের সাথে পেরে উঠবেনা।
৩) মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে খারাপ মানুষের সংখ্যাই বেশী। তাদেরকে বাগে আনার কৌশল হল ভয় ভীতি প্রদর্শন। বইপত্র কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে তাদেরকে বাগে আনা যাবেনা। ক্ষমতার লোভ ওদের মধ্যেও রয়েছে আর এজন্য নিজেদের স্বার্থ উৎসর্গ করবে এমনটি ভাবা যায়না। জ্যান্টাইলরা সাধারণতঃ হুজুগে প্রকৃতির। তারা আবেগ, বিশ্বাস, ঐতিয্য এবং ব্যক্তিগত অহংকারের জন্য নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতেও রাজি। যে কোন সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নকল্পে তারা গন-আন্দোলনের ডাক দেয়, কখনো দু-একটি মিথ্যে প্রচারণায় কান দিয়ে তাদের বুদ্ধিদীপ্ত মানুষটিকেও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। বুদ্ধিমান প্রাণী হলে এমনটা কখনো করতো না। তাই তারা অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা থেকে কখনও বের হয়ে আসতে পারবেনা। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যে কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের অনুমতির প্রয়োজন কিন্তু তাদের এটা জানা নেই অধিকসংখ্যক জ্যান্টাইলরা মূর্খ ও বুদ্ধিহীন।
৪) ইতোমধ্যেই আমাদের কাঙ্খিত পথ আমরা সহজ করে ফেলেছি। জ্যান্টাইলদের মনমানসিকতার প্রতিটি শাখায় আমরা প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছি। লোভলালসা দেখিয়ে আমরা তাদের বশীভূত করতে পেরেছি। চরিত্রগত দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের মধ্যে বিভাজনের দেয়াল গড়তে পেরেছি।
৫) স্বাধীন দেশগুলোতে জনমনে সাধারণ একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি, তা হল জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। দেশ পরিচালনা করতে গেলে জনগণের মধ্য হতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা প্রয়োজন। এভাবেই চলছে গণতান্ত্রিক সরকারের রূপরেখা কিন্তু আমরা চাইলে যখন তখন এ সকল প্রতিনিধিদেরকে পাল্টাতে পারি ঠিক যেমন হাতমোজা ছিড়ে গেলে পরিবর্তন করে ফেলি। যেহেতু আমরা এসব জনপ্রতিনিধিদেরকে আমাদের প্রচার চেইনের মাধ্যমে জন্ম দেই এবং আমাদের স্বার্থের বিপক্ষে গেলেই অপপ্রচারের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেই। ওরা কখনো আমাদের ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্ন করতে পারবেনা। আমাদের একাংশ ছদ্মবেশে ওদের সঙ্গে মিশে থাকবে এবং বিভিন্ন অধিকার আদায়ের জন্য উসকে দেবে ফলসরূপ কৃষিপণ্য ও অন্যান্য পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। এই অস্থিতিশীল পরিবেশে আমরা এক নূতন অর্থনৈতিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করব যা আমাদের দখলে থাকবে।
৬) জ্যান্টাইলদের সাথে আমাদের পার্থক্য হচ্ছে, আমরা হলাম সৃষ্টিকর্তার মনোনীত সম্প্রদায় এবং মানবজাতির মধ্যে শ্রেষ্ট। জ্যান্টাইলরা হচ্ছে দু’পায়ে ভর করে চলা পশুসদৃশ, তাদের না আছে দূরদৃষ্টি আর না আছে নিত্যনূতন আবিষ্কারের ক্ষমতা, তাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের হাতে এ পৃথিবীর শাসনভার তুলে দিয়েছেন। যতদিন না ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ বাসস্থান এবং দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে, নিজেদের চারিত্রিক মূল্যবোধ ততদিন ধরে রাখতে হবে, এ জিনিষ আমাদের অস্থিত্বরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা অতি প্রাচীনকাল থেকেই স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব এ ধরণের মতবাদকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আসছি কিন্তু জ্যান্টাইলদের বোকা গর্দভরা এ মতবাদগুলোকে অধিকার আদায়ের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে আসছে এবং এর জন্য অনেক সময় নিজেদের প্রাণও বিসর্জন দিচ্ছে। ওরা আমাদের সৃষ্ট নীতিকথা ও মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেদের একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে ধ্বংস করছে। তারা এখনো বুঝতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবেনা যে, অস্থিত্বরক্ষায় একতা, সাম্য ও স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই।
৭) জ্যান্টাইলদের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে যখন যুদ্ধে লিপ্ত হবে তখন উভয় পক্ষের মধ্যে যেন আর্থিক দুরাবস্থা নেমে আসে, তা আমরা নিশ্চিত করব। এমন প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করব যাতে যুদ্ধ পরবর্তী সকল ক্ষমতা আমাদের হাতে চলে আসে।
জ্যান্টাইল সরকারদের ব্যর্থতার উপর আমাদের প্রকাশনী সংস্থাগুলি নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এসব প্রতিবেদন পড়ে পড়ে সাধারণ জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে লেগে যাবে। রাষ্ট্র চালাতে গেলে অনেক সময় সরকারের ছোটখাটো ভুল হয়, সেই সমস্ত ভুলগুলোকে আমরা এমনভাবে প্রচার করব যাতে তাদের সকল ভাল কাজগুলো ম্লান হয়ে যায়।
৮) জনগণের মধ্য হতে যাকে আমরা শাসক হিসাবে নির্বাচিত করব তাকে কখনো জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে দেবনা। আমাদের ক্রয়কৃত প্রতিনিধিরা সেই শাসকের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে উপদেষ্ঠামন্ডলীতে থাকবে এবং তারা খুব ভাল করেই জানে আমাদের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করতে হবে। পরাশক্তিধর দেশগুলোর উপদেষ্ঠামন্ডলীতে তারাই কাজ করবে যারা ছোটবেলা থেকেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বুদ্ধীদীপ্ত হয়েছে, তারা খুব ভাল করেই জানে আমাদের স্বার্থ কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়।
৯) বর্তমান সরকার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে গণমাধ্যম যা দ্বারা ইচ্ছামত জনমত গঠন করা যায়। গণমাধ্যমের লক্ষ হল জনগণকে অবহিত করতে প্রকৃত সত্য খবরটি উপস্থাপন করা, সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সম্ভাব্য সমাধান জাতির সামনে তুলে ধরা কিন্তু আমরা কোন রাষ্ট্রকেই নিজেদের ইচ্ছামত গণমাধ্যম ব্যবহার করার সুযোগ দেবনা। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের প্রায় সকল খাত আমাদের হাতে চলে এসেছে এবং এগুলো হাতের কব্জায় আনতে আমাদেরকে যুগে যুগে অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে।
১০) রাষ্ট্রীয় সংবিধানে সম-অধিকারের ধারাবাহিক বর্ণনা থাকলেও আসলে সম-অধিকার বলতে কিছুই নেই। এ বর্ণনা শুধু কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ, কখনো এর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। খাবার টেবিলে যে উচ্ছিষ্ট খাবার পড়ে থাকে রাষ্ট্রের বেশীরভাগ লোক শুধু সেগুলোই খায়। এ উচ্ছিষ্ট খাবার দিয়েই আমরা তাদের ভোট কিনে নেব। প্রজা নির্যাতন ও সামরিক শক্তির অপব্যবহার করে জ্যান্টাইল রাজারা কতদিন প্রজাদের খামোশ রাখবে, একদিন প্রজারা বুঝতে পেরে জ্বলে উঠবে এবং আমরা এ সুযোগে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব।
১১) আমাদের দখলে পৃথিবীর যত গণমাধ্যম এবং পত্র-পত্রিকা আছে এ সমস্ত প্রচার মাধ্যমের সাহসী সাংবাদিকরা জ্যান্টাইল প্রশাসনিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আক্রমণাত্বক কলাম লিখবে যা জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে। ফলে একসময় এদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সৃষ্টি হবে এবং জনরোষ সরকারের পতন ঘটাবে।
১২) ধাপে ধাপে একটি দেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। প্রথম ধাপেই বর্বর যুগের ন্যায় দেশব্যাপী ডান ও বামপন্থীরা দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়। মানুষ এ সুযোগে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে। ২য় ধাপে, অবৈধভাবে জনগণের কাঁধে ভর করে সৈরশাসকের উৎপত্তি হয়। যদিও সেই সৈরশাসক বেশীদিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনা তবুও তার অদৃশ্য প্রভাব থেকে যায়। এ অবস্থায় আমাদের প্রচারণায় কিছুসংখ্যক জনপ্রিয় নেতা-কর্মীর উত্থান ঘটবে। তাদের মধ্য হতে আমরা একজনকে ক্ষমতায় নিয়ে আসব যে শুধু আমাদের পক্ষেই কাজ করবে। প্রয়োজনে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা রাখব কিন্তু আমাদের এই গোপন খেলাটি জনগণের কেউ বুঝতে পারবেনা। তারা শুধু আমাদের অদৃশ্য প্রচারণায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত থাকবে।
১৩) জ্যান্টাইলরা প্রতিশ্রুতিকে সবসময় গুরুত্ব দেয় কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করার ক্ষেত্রে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। তাই আমরা তাদেরকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বশ করতে পারব এবং ক্ষমতা গ্রহণের পর এ নিয়ে আমাদের আর না ভাবলেও চলবে। ইতোমধ্যে আমরা জ্যান্টাইলদের রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নের ক্ষমতা লোপ করতে সক্ষম হয়েছি এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় সে ধরণেরই হবে যেমনটি আমরা চাই।
১৪) রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিতান্তই একটি ধ্বংসাত্বক পরিকল্পনা। অনেক রাষ্ট্র আছে যেথায় ক্ষমতায় থাকা দল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। সাধারণ মানুষও চায়না অশান্তি প্রতিষ্ঠায় অন্য কোন দল গড়ে উঠুক। এক্ষেত্রে ক্ষমতাশীল দলের পতন ঘটাতে হলে সে সমাজের উচুঁস্তরের মগজে রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিষয়টি ঢুকিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে। জনগণ তাদের মধ্য হতে যে কাউকে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি হিসাবে বেছে নিতে পারে। কালক্রমে সমাজের সর্বস্তরে এ বিষয়টি সহজ সমাধান বলে বিবেচিত হবে ঠিক তখনই এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বিভিন্ন দলের জন্ম দেব এবং এ সমস্ত দলগুলোর সমর্থনে অসংখ্য লোক জড় করব। সহজে এ কাজ করতে পারলে জ্যান্টাইলদের ঐক্যে ফাটল ধরবে এবং অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার কারণে ক্ষমতাশীল দলের পতন এবং নূতন সরকারের আবির্ভাব ঘটবে। আমরা তাদের উপর এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দেবো যা তাদের নৈতিক মূল্যবোধকে পঙ্গু করে দেবে এবং এজন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাও তাদের লোপ পাবে।
১৫) বিশ্ববাজারের সকল সম্পদ করায়ত্ব করে আমরা একচেটিয়া আধিপত্যের জন্ম দেব। জ্যান্টাইল দেশগুলো যতই সম্পদশালী হোক না কেন, একসময় তাদেরকে আমাদের সম্পদের উপর নির্ভর করতে হবে। আমাদের প্রদত্ত বহুমুখী ঋণের বেড়াজালে তাদেরকে একসময় জড়িয়ে ফেলব তা তাদের জাতীয় দায় হিসাবে পরিগণিত হবে। দায়মুক্তির এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সৈরশাসকের জন্ম দেবো যারা ওদের পরিত্রাণে এগিয়ে আসবে কিন্তু শুধুমাত্র তাদেরকেই তারা সাহায্য করবে যারা আমাদের সকল অনুশাসন মাথা পেতে নেবে।
১৬) আমরা তাদের শাসনব্যবস্থায় যুগ যুগ ধরে আঘাত হেনেছি এবং নিজেদের ধ্যান ধারণা চাপিয়ে দিয়েছি। আমাদের শাসনব্যবস্থার ভিত্তি হবে অর্থ সম্পদ, যেগুলোর মালিক শুধু আমরাই। আর বিজ্ঞানের কথা বলুন সেগুলোর বেশীরভাগই আমাদের আবিষ্কার। আমরা জ্যান্টাইল শ্রমিকদের মধ্যে মুজুরী নিয়ে অসন্তুোষ এবং আন্দোলন ছড়িয়ে দেব এবং একই সময়ে নিত্যপণ্যের দামও বাড়িয়ে দেব। ফলে যদিবা মুজুরী বৃদ্ধি পায়, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এর সুফল তারা পাবেনা। সুকৌশলে আমরা জ্যান্টাইল কৃষকদের মাঝেও অনুরূপ অরাজকতা ছড়িয়ে দেব এবং তাদেরকে মদ্যপানে আসক্ত করব ফলে ধীরে ধীরে চারিত্রিক বৈশিষ্টসমূহ হারিয়ে তারা অসহায় জাতিতে পরিণত হবে। এমতাবস্থায় রক্ষাকর্তা হিসাবে আমরা তাদের সামনে হাজির হব। সামাজিক অস্থিরতা দূরীকরণের লোভ দেখিয়ে তাদেরকে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ ইত্যাদি আন্দোলনে তাদেরকে যোগদান করতে আহ্বান জানিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্ববোধ ধ্বংস করে দিব। আমরা এমন বহু তত্ত্বের জন্ম দিয়েছি এবং দৈনন্দিন জীবনে এর প্রতিফলনের জন্য প্রতিনিয়ত জ্যান্টাইলদেরকে উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছি।
১৭) জ্যান্টাইলদের শিল্পসংস্থা ধ্বংস করে তাদেরকে সৌখিন পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলব যা তাদের চাহিদা ও রুচিবোধের ধারণা পাল্টে দেবে। আমাদের প্রস্তুত চকচকে ও সময়োপযোগী পণ্যসামগ্রী ক্রয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করে অর্থ হাতিয়ে নেব। আমরা তাদেরকে সৌখিন পণ্য কিনতে বাধ্য করব না তবে তারা এতটাই বোকা যে, নিজ থেকেই আমাদের জিনিষ ব্যবহারে তাদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
১৮) আমাদের প্রচার মাধ্যমের সহায়তায় জ্যান্টাইল সরকারদের হাত পা বেঁধে ফেলব, তাই তারা চাইলেও আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা কারণ তারা আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে চাইলে আমাদের গণমাধ্যমের সহায়তায় জনগণকে উসকে দিয়ে আন্দোলনের জোয়ার বইয়ে দেব, যা তাদেরকে ক্ষমতা থেকে উপড়ে ফেলবে।
১৯) আমরা জ্যান্টাইল সরকারদের উসকে দেবো, যেন তারা প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে অর্থাৎ আমাদের পক্ষের কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারের হয়ে কাজ করবে ফলে সরকার এবং জনগণের মধ্যে রেষারেষির সম্পর্ক সৃষ্টি হবে এবং এটা আমাদের লক্ষ অর্জনে জন্য খুবই জরুরী।
২০) আমাদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য জ্যান্টাইলরা নিজেদের পত্রিকা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রয়োজন মনে করবেনা। আমাদের প্রচারিত সংবাদ এবং তথ্যসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত তাদের কোন বিশ্বাসযোগ্য মিডিয়া থাকবেনা। ফলে কোন বাঁধাবিঘ্ন ছাড়াই আমাদের জয় আসবে। পৃথিবীব্যাপী যতদিন না গণমাধ্যমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আমাদের দখলে আসবে ততদিন পর্যন্ত যাই করিনা কেন, সব ব্যর্থতায় রূপ নেবে। তাই যে কোন মূল্যে গণমাধ্যমকে আমাদের কব্জায় আনতে হবে।
২১) সুষ্ঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আমরা বহু অর্থনীতিবিদদের জন্ম দেব কারণ অর্থউন্নয়নের চেয়ে বড় কোন হাতিয়ার এ পৃথিবীতে নেই। আমাদের মধ্যে চারিদিকে ব্যাংকার, শিল্পপতি ও ধনুকুবেরের মত অসংখ্য ব্যক্তিত্বের জন্ম দেব। বোকা জ্যান্টাইলরা এদেরকে নিজেদের জীবনের আদর্শ বলে মনে করবে এবং তাদের এ মনোবৃত্তিকে পূঁজি করে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।
২২) রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, সৈরতন্ত্র ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা জ্যান্টাইল দেশসমূহের প্রত্যেক জাতিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করব এবং সেইসাথে তাদেরকে আমাদের সেবায় উদ্বোদ্ধ করব। এভাবে প্রতিটি শাসনব্যবস্থাকে একসময় আমরা নির্মুল করতে সক্ষম হব। তাদেরকে কখনো আমরা শান্তিতে থাকতে দেবনা যতদিন না পর্যন্ত তারা আমাদের নিয়মকানুন মেনে চলতে বাধ্য হবে। ওদের যুবসমাজের বুদ্ধিবৃত্তি, চিন্তাশক্তি এবং নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করার লক্ষে আমরা এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা ওদেরকে গ্রহণ করাতে সক্ষম হয়েছি যা আমাদের যুবসমাজের শিক্ষাব্যবস্থা ও মূল্যবোধ চর্চার ক্ষেত্রে আমরা তা কখনো গ্রহণ করবনা।
২৩) বর্তমানে যদি কোন রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে তবে তা হবে কেবল ক্ষমতার স্বার্থেই অথচ তার এই ক্ষমতালিপ্সা আমাদের হাতে বন্দী। আমাদের প্ররোচনায় এবং ঈশারায় আমাদের বিরুদ্ধে সে সরব হয় শুধু ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে। কিভাবে সে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়বে যেহেতু তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের অনেককেই বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে আমরা ক্রয় করে থাকি। পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রনায়ককে আমরা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছি এবং আগামীতে অনেক বিরুদ্ধাচারণকারীকে অনুরূপভাবে সরানোর প্রয়োজন পড়বে।
২৪) জ্যান্টাইল দেশসমূহের রাজনৈতিক দলের মধ্যে শত্রুতার কারণে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা আমাদের হাতে চলে আসে, ফলে আমরাই তাদের বিবাদের সমাধান করি। তাদের শত্রুতার মধ্যে সারাক্ষণ আমরা ঘি ঢালি, এরজন্য যে অর্থ প্রয়োজন তার যোগান আমরাই দেই।
২৫) আমরা পরিকল্পনামাফিক অনেক দুর এগিয়ে গেছি যে জায়গা হতে আর পেছন ফেরা সম্ভব নয়। এখন আমাদের সামনে আর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। বিশ্বকর্মসূচী (ইহুদি শাসিত নিউ ওয়াল্ড অর্ডার) পরিকল্পনায় বিশ্বের প্রশাসন, আদালত, মিডিয়া সবকিছুই এখন আমাদের দখলে। একসময় বিশ্বজুড়ে আমরা যাদের প্রজা ছিলাম আজ তাদেরকেই প্রজা হিসাবে আমরা ব্যবহার করছি। অবশ্যই আমরা তাদের চেয়ে কঠোর শাসক হিসাবে তাদেরকে আজ্ঞাবহ হিসাবে গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছি।
২৬) আমরা সবসময়ই খ্রিস্টান মিশনারীদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছি যাতে তাদের অন্তরে প্রবেশ করে তাদের সব নৈতিকবোধ ধ্বংস করে দিতে পারি। এখন আর সে সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজন নেই কারণ তারা এখন ধর্ম পালনকে তেমন গুরুত্ব দেয়না। ফলে পোপ কিংবা পাদ্রীদের উপর খ্রিস্টানদের আস্থার জায়গাটি ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে।
২৭) জ্যান্টাইল দেশসমূহের শিক্ষাব্যবস্থাকে জ্যান্টাইলদের যোগ্যতা যাচাইয়ের মাফকাঠিতে পরিগণিত করব। কর্মজীবনে প্রবেশের পূর্বে নিম্নমানের এই শিক্ষাব্যবস্থা তাদের মধ্যে অহংকার এবং যোগ্যতার মানদন্ডে বিভক্তির সৃষ্টি করবে যা একসময় পারিবারিক এবং সামাজিক সম্পর্ক চিহ্ন করতে উৎসাহিত করবে।
২৮) যতদিন পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছতে না পারছি ততদিন পর্যন্ত তাদেরকে বিভিন্ন আমোদ—প্রমোদে ব্যস্ত রাখব। যেসব মতবাদের কথা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে সেসব মতবাদকে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার জন্য আমাদের সার্বক্ষণিক চেষ্ঠা থাকবে। মার্কসবাদ, লেনিনবাদ, নাৎসিবাদ, ডারউইনবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষবাদ, সৈরতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি ব্যবস্থাকে আমরা তাদের কাছে প্রগতির সিড়ি হিসাবে উপস্থাপন করেছি যা তারা গ্রহণ করেছে এবং এসমস্ত বিভিন্ন মতাদর্শের মাধমে তাদের মধ্যে বিভক্তি ও নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করেছি এবং সামনের দিনগুলোতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
২৯) আমরা জানি জ্যান্টাইলদের একতার ভিত্তি খুবই দূর্বল। কখনোবা এক হলেও পুনরায় তাদেরকে দ্বিধাবিভক্ত করে দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি যেমনটি গত দু’হাজার বছর ধরে আমরা করে আসছি। কীভাবে রাজতন্ত্রের আবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের অভ্যুত্থান হবে এবং সৈরশাসন হতে নির্বাচনভিত্তিক সরকার হবে তা আমরাই নির্ধারণ করি। গণতন্ত্রে জনগণ তাদের মধ্য হতে রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় চলে যাবে। ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন আমরা ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদল উভয়ের পেছনে সমানভাবে অর্থ খরচ করব যাতে প্রয়োজনে এই অর্থ মাটিতে পূঁতে রাখা মাইনের মত কাজ করে। যতদিন না পর্যন্ত জ্যান্টাইলরা আমাদের ক্ষমতা ও অর্থের মাঝে আশ্রয় খুঁজবে ততদিন পর্যন্ত ক্ষুধা, দারিদ্র, দুর্ভিক্ষ, মতবিরোধ ও পারস্পরিক শত্রুতার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখব।
৩০) জ্যান্টাইলরা ভেড়ার পাল, নির্বোধ, তাই আমরা তাদেরকে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দেইনা কেন তা তারা সত্য হিসাবে গ্রহণ করে। আমরা তাদেরকে স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দেব কিন্তু আগেভাগেই তাদের মধ্যে অরাজকতা ও যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দেব। এই স্বাধীনতার জন্য তাদের কতকাল অপেক্ষা করতে হবে তা তারা জানেনা। আমরা ইচ্ছে করলে এই যুদ্ধ ও শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দীঘার্য়িত করতে পারব। প্রথমে তাদের মধ্যে যুদ্বকালীন ভয় ঢুকিয়ে দেব এবং পরে সেই ভয় থেকে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেব।
৩১) উচ্চাবিলাসী জ্যান্টাইল ব্যক্তিরা তাদের সমাজের প্রশংসা পেতে বিভিন্ন গোয়েন্দা পেশায় যোগ দেয়। আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করে পরিকল্পনামাফিক তাদেরকে ব্যবহার করব। গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে নির্ভর করে জ্যান্টাইলরা পুরো বিশ্বে অসংখ্য গোয়েন্দা সংস্থার জন্ম দিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে এ সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সকল অপরাধ কর্মের রহস্য উদঘাটিত হবে। অপ্রয়োজনীয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা তাদের সফলতা এনে দিব যা তাদের মধ্যে জাতিগতভাবে অহমিকার জন্ম দেবে, এতে তারা আমাদের তৈরী পরামর্শগুলো সহজেই গিলবে। ভাবতে পারা যায়না এই অহমিকাবোধ তাদেরকে কতটা বেসামাল করে দেবে ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। পরবর্তীতে তাদের কিছু কিছু ব্যর্থতা এনে দিব যা তাদের অহমিকা ও মনোবলকে চূর্ণ করে দেবে। আসলে জ্যান্টাইলরা জনপ্রিয়তা ও আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। আমাদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস ও জনপ্রিয়তা বিবেচ্য বিষয় নয় বরং ইহুদি স্বার্থ রক্ষাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
৩২) আমাদের পক্ষের প্রচার মাধ্যমের সহায়তায় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে খবর সংগ্রহের ব্যাপারটি আমরা কেন্দ্রিভূত করেছি। এভাবে আমরা প্রতিটি দেশের গণমাধ্যমের উপর আধিপত্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সকল কূটপরিকল্পনা জেনে বুঝে তারা চুপচাপ বসে থাকে এবং ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত থাকার জন্য আমাদের কাছেই পরামর্শ কামনা করে তখন তাদেরকে নির্বোধ বলবনা কেন ?
৩৩) প্রথমদিকে জ্যান্টাইলদের কর্মকান্ডের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ আমাদের জন্য বেশ কঠিন ছিল তবে আমাদের মুরব্বীরা গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি তাদের মগজে ঢুকিয়ে দেবার পর সবকিছু যেন পাল্টে গেল। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সম-ভোটাধিকার, সকলের জন্য সম-আইন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা সবই হল গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার মূল উপকরণ, এ বিষয়টি জ্যান্টাইল সমাজ যখন মনেপ্রাণে গ্রহণ করলো তখনই আমাদের জন্য সবকিছুই সহজ হয়ে গেল।
৩৪) জ্যান্টাইল যুবসমাজের নৈতিকবোধ, বুদ্ধিবৃত্তি, স্বাধীন চিন্তাশক্তি ধ্বংস করতে আমরা ইতোমধ্যে তাদের ওপর এক অবাস্তব, অযৌক্তিক ধমীর্য় অনুশাসন বিবর্জিত এক শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছি। ফলে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
৩৫) উপরোক্ত ব্যবস্থা পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে যে কারণে যুগ যুগ ধরে আমাদের পূবসূরীরা প্রটোকলগুলো অক্ষুন্ন রেখে আসছে। জ্যান্টাইলদের প্রতি দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতির গ্রহণযোগ্যতা চাই যা বাস্তবায়ন করা নিয়ে আমাদের চিন্তার কারণ নেই। আমরা বুঝাবো মানুষের কল্যাণই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। এ কারণেই বলতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ আমাদের কথাগুলো সত্য বলে মেনে নেয় এবং তাদের মধ্যে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তা সরিয়ে দিতে আমরা তাদের মধ্যে নূতন নূতন সমস্যার জন্ম দেব। ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনে মুজুরী সমস্যা, চাকুরীর নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ইত্যাদি বিস্তর সমস্যার সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ রাজনৈতিক বিতর্কে মাথা ঘামাতে চাইবেনা। আমরা তাদেরকে বিনোদন, খেলাধূলা এবং আয়েশী জীবনে উৎসাহিত করব। তখন তারা শুধু নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং এ কারণে তাদের স্বাধীন চিন্তাশক্তিও লোপ পাবে। উদারপন্থী, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মুক্তমনা ইত্যাদি নীতিবাক্য ব্যবহার করে জ্যান্টাইলদেরকে বিভিন্ন মারপ্যাঁচের মধ্যে আমরা ডুবিয়ে রাখব। তারা উদারপন্থী নীতিবাক্য প্রগতির জন্য প্রয়োজন বলে মনে করবে কিন্তু এরা এতই নির্বোধ যে প্রগতির আসল সত্য তাদের কাছে অধরাই থেকে যাবে।
৩৬) বিশ্বের প্রতিটি দেশেই পর্যায়ক্রমে আমরা মিথ্যে বানোয়াট ও অশ্লীল গল্পসাহিত্যের বীজ রোপন করেছি এবং সে সমস্ত দেশগুলোর মানুষ ধরে নিয়েছে এগুলোই আসলে আধূনিকতার মূল ধারা। তাদের অতীতের ভাল ভাল ইতিহাস বিকৃত করে পাল্টে নূতন ইতিহাস এবং বানোয়াট গল্প ঢুকিয়ে দিয়েছি এবং সাধারণ মানুষকে তা বিশ্বাস করতে প্রলুব্ধ করিয়েছি।
৩৭) বিশ্বশাসন ব্যবস্থার অধিপতি হওয়ার পর আমরা নিজেদের ধর্মপ্রচার শুরু করব। এর মূল বিষয় হবে, ঈশ্বর এক, আমরাই ঈশ্বরের একমাত্র মনোনীত সম্প্রদায় এবং পুরো বিশ্বের ভাগ্য আমাদের ভাগ্যের সাথে জড়িয়ে আছে। ফলে ইহুদি ধর্ম ব্যতীত পৃথিবীর সকল ধর্ম ধ্বংস হবে এবং সবাই আমাদের ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করবে। যতদিন না জ্যান্টাইলরা আমাদের অর্থ ও ক্ষমতার মাঝে নিজেদের আশ্রয় খুঁজবে, ততদিন পর্যন্ত, ক্ষুধা, দারিদ্রতা, পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা, মতবিরোধ, দুভিক্ষ ইত্যাদির জালে তাদেরকে আবদ্ধ করে রাখব।
৩৮) ক্ষমতাসীন ব্যক্তি আমাদের ইঙ্গিতে প্রশাসনে একের পর এক পরিবর্তন ঘটাবে তা দেখে জ্যান্টাইলরা একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়বে, তখন সরকারবিরোধী ধ্বংসাত্বক আন্দোলনে আমরা সরকারবিরোধী দলকে পুনরায় উৎসাহিত করব। আন্দোলন পরবর্তী রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে নেতারা তখন আমাদের যেকোন শর্ত মেনে নিতে রাজী হবে।
৩৯) পৃথিবীর সকল শক্তিশালী রাষ্ট্রকে টার্গেট করে তাদেরকে অবনত করে আমরা রাজা ডেভিডের (দাউদ নবী) সিংহাসন পুনরুদ্ধার করব। পৃথিবীর বুকে এই রাজবংশের ধারা হিসাবে আমরা আজও বিদ্যমান। বিজ্ঞ, বিচক্ষণ ও শিক্ষিত প্রত্যেক ইহুদি ব্যক্তিই এই রাজবংশের উত্তরাধিকারী, যাদের উপর পুরো বিশ্বের শাসনভার অর্পণ করা হয়েছে।
উপরোক্ত প্রটোকলসমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ইহুদি রাব্বী/রাবাই সম্প্রদায় (ইহুদি ধর্মগুরু) হাজার বছর পূর্বে ইহুদি জাতির প্রতি যে নির্দেশিকা জারী করেছিল তা ইহুদি সম্প্রদায় অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত করছে। ইতোমধ্যে তারা যা অর্জন করেছে তা হল :
ক)) তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা না বলতে পারে তারজন্য তারা “এন্টি ডিফ্লেমেশন লীগ” প্রতিষ্ঠা করেছে। নিউইয়র্কে এর প্রধান কার্যালয়। এর শত শত শাখা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ হল ইহুদি জাতির বিরুদ্ধে যারাই সরব হবে তাদের কন্ঠকে দমিয়ে রাখা কিংবা তাদেরকে নিঃশেষ করে দেয়া।
খ) পৃথিবীর ৯৬% মিডিয়া ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে। নামীদামী ম্যাগাজিন, টিভি চ্যানেল, রেডিও এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যম তার সবক’টিই ইহুদি মালিকানাধীন এবং এ সমস্ত মিডিয়া জগত যা প্রচার করে সমগ্র বিশ্ব তা অকপটে বিশ্বাস করে।
গ) বিশ্বের অস্ত্রভান্ডার ইহুদি এবং ওদের দোসর নিয়ন্ত্রিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশজুড়ে যুদ্ধের দামামা ওরাই ছড়িয়ে দেয় এবং দেশে দেশে যুদ্ধ লাগিয়ে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে ওরা সম্পদের প্রাচুর্য্য গড়ে তুলে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইহুদি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংগঠিত হয় এবং বর্তমান পৃথিবী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যার কলকাঠি নাড়ছে ইহুদিরা।
ঘ) বিশ্বের থিয়েটার, মিউজিক এবং সিনেমা শিল্প ইহুদিরা নিয়ন্ত্রন করে। হলিউড, লন্ডন, প্যারিস এবং রাশিয়ান অর্কেষ্ট্রা সম্পূর্ণই ওদের দখলে। ফিল্মে নগ্নতা, যৌন আবেদন, সমকামিতা ইত্যাদির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে জ্যান্টাইলদের ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা বিরোধী কাজে উৎসাহিত করা ওদের প্রটোকলের অন্যতম দিকনির্দেশনা।
ঙ) পৃথিবীর ৭৫০ কোটি জনগোষ্ঠির মধ্যে ইহুদি জনসংখ্যা মাত্র দেড়কোটি অথচ তারাই সমগ্র পৃথিবীর নিয়ন্ত্রক।পরাশক্তিধর দেশগুলোর প্রশাসনযন্ত্র তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকেই তারা ক্ষমতায় নিয়ে আসে এবং তাদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থ হাসিল করে। আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স কিংবা যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে কেউ জয়ী হতে পারেনা যারা ইহুদি সমর্থিত প্রার্থী নয়।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির চলমান ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে শত শত বছর পূর্বে ইহুদি রাব্বি/রাবাইগণ ইহুদি জাতির প্রতি যে দিক-নির্দেশনা উপস্থাপন করেছিল পৃথিবীজুড়ে একে একে সে সমস্ত পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন চলছে। সকল জ্যান্টাইল (ইহুদি ছাড়া অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী) এবং পাগান (নাস্তিকবাদে বিশ্বাসী) সম্প্রদায়ের মধ্যে অবিশ্বাস, অশান্তি, বিভেদ আর যুদ্ধের ভয়াবহতা গ্রাস করেছে যার মূল হোতা ইহুদি ষড়যন্ত্র। ভারত, পাকিস্তান, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে, অসংখ্য নীরিহ মানুষ, সেনাসদস্য, নারী ও শিশু প্রতিনিয়ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে ইহুদি যুদ্ধবাজরা যাতে তারা তাদের কল্পিত ”দি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমগ্র মানবসত্ত্বাকে তাদের প্রজা বানিয়ে পৃথিবী শাসন করতে পারে।
====================================
No comments:
Post a Comment
What do you think?